Uncategorized

বাংলাদেশে ব্যবসা, স্টার্ট-আপ, এবং ইভালি

১। ১৯৯৮-২০০১ সালের কথার। টাঙ্গাইলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী নামের এক ব্যাক্তি প্রথাগত ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে নিজেরা একটা প্রতিষ্ঠান করেছিল। তারা প্রান্তিক গ্রাহক লেভেল থেকে বেশি সুদে মুনাফা দেবার নামে অনেক টাকা সঞ্চয়/ডিপোজিট কালেক্ট করেছিল। সাফা ঢেউটিন, সাফা টেলিভিশন, সাফা ফ্রিজ নামে বেশ কিছু পণ্য নিজেরা ফ্যাক্টরী থেকে বানাতো। কোন প্রকার মার্কেটিং ছাড়া নিজেদের অফিসের মাধ্যমে নিজেরা বিক্রি করতো। মানে ফ্যাক্টরীর উৎপাদন খরচের পর বাকি টাকা তাদের লাভ থাকতো। আর সিরাজী সেই ব্যবসার মূলধন সংগ্রহ করেছিল প্রান্তিক লোকদের থেকে। পরবর্তীতে তারা TVC, পত্রিকা বিজ্ঞাপনসহ শো-রুমসহ ভালই ব্যবসা করছিল। হঠাৎ একদিন সরকারের মনে হলো, এই লোক বাটপার। কোন প্রকার ব্যবসায়িক সুযোগ না দিয়ে, এই লোকের সব অফিসে তালা দেওয়া হল। শো-রুমের মালামাল এলাকার নেতা-খেতারা নিয়ে গেল। বেচারা সিরাজী ২০০২-২০০৮ পর্যন্ত জেল খাটলো। উনি শিল্পপতি বনে গেল। ধরা যা খাওয়ার খেলো সাধারন পাবলিক। লাভ কাদের আপনারাই হিসাব করুন।

২। আমার যদি স্মৃতিতে ভুল না হয়ে থাকে, তাহলে মিরপুরের যুবক নামে একটা সংস্থা ছিল । তারাও সঞ্চয়/ডিপজিট সংগ্রহ করতো। তারা বিশাল পরিমাণ ক্যাপিটালের মালিক হবার পর, এক রাতের নোটিশে সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ধরা যা খাওয়ার খেলো সাধারন পাবলিক। লাভ কাদের আপনারাই হিসাব করুন।

৩। এরপর আসুন এম.এল.এম. কোম্পানী ডেস্টিনি। হাজার হাজার কোটি টাকা কামালো। টেলিভিশন চ্যানেল খুললো, পত্রিকা বের করলো। সরকারী আমলা, সেনাবাহীনির অফিসার থেকে এমন কোন সেক্টরের লোক নাই যারা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিল না। দীর্ঘদিন ব্যবসা করলো, কারো কোন সমস্যা ছিল না। যখন টাকার পরিমাণ বেড়ে গেল, দিল এটাকে বন্ধ করে। ধরা যা খাওয়ার খেলো সাধারন পাবলিক। লাভ কাদের আপনারাই হিসাব করুন।

৪। হলমার্ক গ্রুপ সোনালী ব্যাংক থেকে নামে বেনামে ২০০০ কোটি টাকা লোন নিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করলো। আমি হলমার্ক গ্রুপের এসেট ভ্যালু ইভালুয়েশন কমিটির একজন সদস্য ছিলাম। যতদূর জানি আমাদের সেই রিপোর্ট সোনালী ব্যাংক হেড অফিস, বাংলাদেশ ব্যাংক, এবং সংসদীয় অর্থ বিষয়ক কমিটিতে যেত। এটা নিয়ে অনেক রিপোর্ট পত্রিকায় পড়েছেন। আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। কারন আমার ঘাড়ে মাথা একটাই। তানভীর সাহেব এখন জেল খাটছে। শুনেছি জামিনও নাকি পেয়ে যাবেন। ধরা যা খাওয়ার খেলো সাধারন পাবলিক (কারন ব্যংকের আমানত সাধারন পাবলিকের)। লাভ কাদের আপনারাই হিসাব করুন। এভাবে লিষ্ট করলে অনেক বড় লিষ্ট করা যাবে। কথা না বাড়িয়ে এবার আসি ইভালি নিয়ে।

৫। ইভালি ই-কমার্স ব্যবসা করছে বাংলাদেশে। তাদের ব্যবসার মডেল প্রথাগত মডেল থেকে একটু আলাদা। তাই তাদের গ্রোথ বেশ ভালই হচ্ছিলো। হঠাৎ প্রথম আলোর মনে হলো, একটা রিপোর্ট করে দিল। সাথে সাথে সব পত্রিকা, সরকারী অফিস হুমড়ি খেয়ে পড়লো, ইভালির মালিক রাসেল সাহেব, উনার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হলো। সবচেয়ে অদ্ভুত লেগেছে এবারের প্রথম আলোর রিপোর্ট। যেখানে ইভালি সম্পর্কে রিপোর্ট করা হয়েছে, অথচ প্রতিষ্ঠানের কারো বক্তব্য নেওয়া হয় নি। ইভালি থেকে পন্য কিনেছেন, দেরিতে পেয়েছেন সে কথা উল্লেখ আছে। কিন্ত কারো টাকা এখন পর্যন্ত খোয়া গিয়েছে কিনা সেটা উল্লেখ করা হয় নি। যেহেতু ইভালির বিষয়টি এখন তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার এবং সরকার তাদের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছে, আমার এখানে মন্তব্য করা অনুচিত। তবে আগামীকাল যদি ইভালি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে যে সকল গ্রাহকের টাকা ইভালির ফান্ডে আছে, তারা কোন টাকা ফেরত পাবে না, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কারন পূর্বের সকল অভিজ্ঞতা তাই বলে।

৬। আমার কথার সর্বশেষে যেটা বলতে চাই, আমি কোন প্রতিষ্ঠানের সাফাই গাইছি না। কিন্তু সিরাজী সাহেবের এসডিএস কোম্পানী, যুবক, ডেস্টিনি, হলমার্ক, কিম্বা ইভালি যদি ব্যবসায়িক ভাবে ভুল কন্সেপশন নিয়ে ব্যবসা করে, তাহলে তাদের ব্যবসায়িক কাজের শুরুতেই/ কিম্বা কিছু দিন পরে কেন সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেয় না। সাধারন পাবলিকের হাজার হাজার কোটি টাকা জমা হবার পর কেন সরকার পদক্ষেপ নেয়? সরকার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেবার সুযোগ দেয় না কেন? এখন যদি কেউ বলেন, আজকে ইভালির ব্যবসার মডেল ভুল, তাহলে তার ভুল গুলো ধরিয়ে ব্যবসার মডেল চেঞ্জ করে ব্যবসা করতে বলেন না কেন? কেনই বা সরকার সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে ব্যবসাকে চালু রেখে জনগনের টাকার সুরক্ষা দেয় না? এখন আমি যদি জাপান থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসে নতুন কোন ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে কাজ করতে চাই, তাহলে এভাবে আমার ব্যবসা তো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে! আমাদের মনে থাকার কথা, পাঠাও যখন ব্যবসা শুরু করে বড় হওয়া শুরু করলো, তাদের লাইসেন্স নিয়ে বিআরটি এ কত কাহিনী শুরু করলো! একটা সমাধানে আসায় তাদের ব্যবসা কিন্তু এখন সাস্টেইনেবল হয়েছে। তার মানে কি, জায়গা মত টাকা টাকা ঢাললে ব্যবসা টিকে থাকে? ছোট মুখে বড় কথা মানায় না, কিন্তু আমাদের দেশে অনেকেই অনেক কিছু করতে চায়, কিন্তু নানান সমস্যার কারনে তারা আগায় না। এখন যদি বের হয়ে আসে, ইভালির রাসেল সাহেব টাকা পাচার করেছে, তাহলে এর দায়িত্ব কি জনগনের সেটা খুঁজে বের করা, নাকি সরকারের? আর যদি মানি লন্ডারিং না করে থাকে, ব্যবসা প্রতিষ্টান যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে কি গ্রাহকরা তাদের টাকা ফেরত পাবে? আমি কোন রাজনৈতিক দলের দোষ দিচ্ছি না। বরং সরকার এবং মনিটরিং কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, আপনারা কি সারা বছর নাকে তেল দিয়ে ঘুমান?

৭। একটা চেনা গল্প দিয়ে শেষ করি। ডাকাতরা এলাকা এলাকা ঘুরে ডাকাতি করতো। ডাকাত দলের সর্দার দেখলো, তাদের খুব কষ্ট হয়। তাই তারা একটা ব্যাংক করলো। সবাই এসে লাইন ধরে ব্যাংকে টাকা রাখা শুরু করলো। এখন ডাকাতরা এসিতে বসে বসে ডাকাতি করে।

#Startup #Evaly #Bangladesh #Business

বাংলাদেশে ব্যবসা, স্টার্ট-আপ, এবং ইভালি Read More »

জাপানে পড়াশুনা ও শিক্ষাবৃত্তির বিস্তারিত তথ্য

জাপান অর্থনৈতিক দিক থেকে যেমন এশিয়া এর মধ্যে উন্নত তেমনি দেশটি শিক্ষাব্যবস্থার দিক থেকেও এগিয়ে চলেছে। জাপানের উচ্চশিক্ষার মান বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সারা বিশ্বেই তা গ্রহণীয় ও সমাদৃত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানে পাড়ি জমাচ্ছেন। বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরাও পাচ্ছেন পড়াশোনার অনেক সুযোগ। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক ছাত্রছাত্রীরা মনবুশো বৃত্তি নিয়ে জাপানে পাড়ি জমাচ্ছেন। এ ছাড়া জাপানে গিয়ে Jasso, টোকিও ফাউন্ডেশন বা আঞ্চলিক কিছু বৃত্তিও পেতে পারেন। আর তাই নিজের ভবিষ্যৎ আরও উন্নত করতে জাপানে উচ্চশিক্ষা নিতে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক।

জাপান হতে প্রদত্ত ডিগ্রির নামঃ

  • ব্যাচেলর ডিগ্রি,
  • মাস্টার্স ডিগ্রি ও
  • ডক্টোরাল ডিগ্রি।

কোর্সের সময়সীমাঃ

১. মাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন করতে দুই বছর সময় লাগবে।
২. ডক্টোরাল ডিগ্রি সম্পন্ন করতে তিন বছর সময় লাগবে। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীদের পিএইচডি প্রোগ্রাম চার (৪) বছরের।

মাস্টার্স ডিগ্রির অথবা পিএইচডি তে আবেদনের যোগ্যতাঃ

  • একাডেমিক কমপক্ষে ১৬ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
  • জাপানি ভাষার ওপর পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, জাপানি ভাষার ওপর দক্ষতা থাকলে আপানর জন্য ভাল।
  • বর্তমানে প্রতিযোগিতার কারণে IELTS / TOEFL দিয়ে রাখা ভাল। এটা আপনাকে সামনে এগিয়ে রাখবে।
  • কিছু Publication থাকা ভাল।

কিভাবে শুরু করবেন?

সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার গবেষণার আগ্রহ এর উপর প্রোফেসর সন্ধান করে তার বরাবর ইমেইল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে। কিভাবে আপনি আবেদন করবেন সে ব্যাপারে, প্রফেসর আপনাকে পরবর্তী নির্দেশনা দিবেন। আপনি ইউনিভার্সিটি এর ওয়েবসাইটে ঢুকেও নির্দেশনা পেতে পারেন। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু তথ্য বলছি আপনাদের সুবিধার্থে—

  • প্রফেসর আপনার কাছে আপনার Graduation এর Transcript চাইতে পারেন।
  • প্রফেসর আপনাকে Skype Interview নিতে পারেন।
  • প্রফেসর আপনাকে Research Proposal তৈরি করতে বলতে পারেন।
  • প্রফেসর আপনাকে Basic কোন বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারেন।

Skype Interview দেওয়ার আগে আপনাকে কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত—

  • আপনার Intended Professor এর গবেষণা সম্পর্কে মূল কিছু ধারনা নিন।
  • আপনার Graduation এর Thesis or Project টা review করে নিন এবং ঐ সম্পরক্রিত মূল কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারনা রাখুন।
  • আপনার বাসার ইন্টারনেট সংযোগ টি ভাল থাকা আবশ্যক। Don’t depend only on router. A back up support like Modem is better to keep.

কীভাবে আবেদন করা যাবে?
১. আবেদনপত্রের তথ্য ও ফরম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লিখিতভাবে সরাসরি প্রতিষ্ঠানের অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
২. আপনি চাইলে আবেদনপত্রের ফরমটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
৩. কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সুবিধা রয়েছে।

ভর্তি কর্তৃপক্ষ ডকুমেন্টেশন, ট্রান্সলেশন ও ভিসাসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাকে জানাবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করার জন্য আপনি কমপক্ষে এক বছর আগে থেকেই খোঁজখবর রাখতে পারেন।

দরকারি কাগজপত্র

  • আবেদনপত্রের ফরমটি সম্পূর্ণভাবে পূরণ করতে হবে।
  • মার্কশিটসহ সব শিক্ষাগত ডকুমেন্টসের ইংরেজি কপি হতে হবে।
  • IELTS / TOEFL পরীক্ষার ফলাফল লাগবে।
  • আপনার পাসপোর্টের ফটোকপি রাখতে হবে।

নিম্নলিখিত তথ্যগুলো সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে দিতে হবে:

  • আপনার আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট/পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটের আবেদনপত্রটি জমা  দিতে হবে।
  • আপনার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অফিশিয়াল কপি জমা দিতে হবে|
  • আপনি যেখান থেকে কোর্সটি সম্পন্ন করেছেন, সেখানকার ডিপার্টমেন্টের প্রধানের কাছ থেকে অফিশিয়াল চিঠি সংযুক্ত করতে হতে পারে।
  • আপনার শিক্ষাগত পর্যায়ের বর্ণনা কোর্সের বিস্তারিত বর্ণনা।
  • আপনি কতগুলো ক্রেডিট সম্পন্ন করেছেন তার বর্ণনা।
  • আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গ্রেডিং পদ্ধতির বর্ণনা।
  • কোর্সটি শেষ করতে যত ক্রেডিট দরকার তার বর্ণনা।

মনবুশো শিক্ষাবৃত্তিঃ

জাপানে উচ্চশিক্ষা নিতে আসার জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে, মনবুশো শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে আসা। মনবুশো বৃত্তি দু’ভাবে পেতে পারেন।
১) ঢাকাস্থ জাপানের দূতাবাসে আবেদন করে, মেধার ভিত্তিতে পেতে পারেন এই বৃত্তি যেটাকে আমরা বলতে বলি Embassy recommendation Scholarship।
২) জাপানেরই কোনো নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো অধ্যাপক বরাবর ইমেইল লিখে যোগাযোগ করে পেতে পারেন শিক্ষাবৃত্তি, যেটাকে বলা হয় University Recommendation Scholarship।

বাংলাদেশ থেকে যারা Graduation শেষ করেছেন তাদের জন্য Masters or PhD তে যাবার জন্য দ্বিতীয়টিতে (University Recommendation Scholarship ) বৃত্তি পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কাজেই এই শিক্ষাবৃত্তি পেতে, আপনাকে প্রথমে আপনার গবেষণার আগ্রহের উপর উপর ভিত্তি করে, প্রফেসর সন্ধান করতে হবে। এরপর প্রফেসর বরাবর ইমেইল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে। শিক্ষাবৃত্তি পেতে কিভাবে আপনি আবেদন করবেন সে ব্যাপারে, প্রফেসর আপনাকে পরবর্তী নির্দেশনা দিবেন।

বৃত্তির পরিমানঃ

১) ১৪৩০০0- ১৪৮০০০ ইয়েন প্রতি মাসে।
২) কোন টিউশন ফি নাই।
৩) বাংলাদেশ হতে জাপানে আসা এবং যাওয়ার বিমান টিকিট।

এসবকিছু নিয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য দেখতে পারেন এই লিংকটিঃ
http://www.uni.international.mext.go.jp/

নিচে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের ঠিকানা উল্লেখ করা হলোঃ
https://www.u-tokyo.ac.jp/en/index.html
http://www.kyoto-u.ac.jp/en
http://www.osaka-u.ac.jp/en
http://www.titech.ac.jp/english
http://www.keio.ac.jp/
http://www.kyushu-u.ac.jp/english/ index.php
http://www.nagoya-u.ac.jp/en
http://www.hokudai.ac.jp/en/index.html
http://www.tsukuba.ac.jp/english
http://www.kobe-u.ac.jp/en
http://www.chiba-u.ac.jp/e/
http://www.waseda.jp/top/index-e.html
http://www.hiroshima-u.ac.jp/index.html
http://www.okayama-u.ac.jp/index ehtml
http://www.sut.ac.jp/en/
http://www.metro-u.ac.jp/index-e.html
http://www.tmd.ac.jp/TMDU-e
http://www.ynu.ac.jp/index en.html
http://www.tokushima-u.ac.jp/english/

জাপানে পড়াশুনা ও শিক্ষাবৃত্তির বিস্তারিত তথ্য Read More »

কেন গ্রাজুয়েশন এর পর বিজনেস শুরু করা উচিত?

কেন বিশ্ব বিদ্যালয় হতে পাশ করেই একটা বিজনেস শুরু করা কিম্বা ইনভেষ্টমেন্ট করা দরকার?
 
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর চিন্তা ভাবনা থাকে, মোটামুটি ভাবে পাশ করতে হবে। পাশ করার পর চিন্তা থাকে, ভদ্রগোচের ভাল বেতনের একটা চাকুরী হলেই হলো। সেটাও হয়ত কিছুদিন পর জুটে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, চাকুরী পাবার পর তাদের মধ্যে নতুন কিছু শেখা, কোম্পানীর সিও/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হবার স্বপ্ন আর থাকে না। তারা জানে সেই পথ অনেক কঠিন এবং লবিংসহ নানান সমস্যা। ৪-৫ বছর চাকুরী করে তারা কিছু টাকা পয়সা জমায়। এরপর তাদের স্বপ্ন হয় ভাল একটা বিয়ে করার।
 
নিজের পছন্দ হোক, কিম্বা পরিবারের পছন্দে বিয়ে করতে গিয়ে ৪-৫ বছরের জমানো অর্থ শেষ হয়ে যায়। ফলে ৩০-৩২ বছর বয়সী ছেলের হাতে কোন সঞ্চয় থাকে না। ক্যারিয়ার বলুন আর উদ্যোমী বলুন জীবনের এই Vital সময়ে যখন তার মাথায় রাজ্যের বিজনেস আইডিয়া ঘুরে,সারা দুনিয়া দাপিয়ে বেরানোর কথা ভাবে, তখন তার ব্যাংক ব্যালেন্স শূন্য। কাজেই শত শত বিজনেস ঘুমিয়ে যায়, চায়ের দোকানে।
 
গ্রাজুয়েশন হলো, চাকুরী হলো, সুন্দরী বউ হলো, এরপর হয়তো বাচ্চা কাচ্চা। বয়স ৩৫+। কাজেই ঝুঁকি নেবার সক্ষমতা কমে আসে। এবার ভাবতে থাকে, না বাবা থাক। ব্যবসায় যাবার দরকার নেই। তাই সে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে থাকে, একটা টয়োটা কিম্বা হোন্ডা গাড়ি হলেই খুশি। তাই আবার টাকা জমাতে থাকে।
 
বয়স ৪০ এর ঘরে পা দিতেই কিছু ব্যাংক লোন নিয়ে, সমস্ত সঞ্চয় খরচ করে একটা টয়োটা কিম্বা হোন্ডা গাড়ি হয়তো কিনে ফেলে। কিন্তু গাড়ি কেনার পর বুজতে পারে, সে তো কোন ইনভেষ্ট করে নাই, বরং গাড়ির মেইন্টেনেন্স এর জন্য মাসে খরচ বাড়ছে। গাড়ী পুরাতন হয়, দাম কমতে থাকে, এদিকে ছেলে মেয়ের পড়াশুনার খরচ বাড়তে থাকে। তার আর নতুন করে জীবনে কোন ব্যবসা, ইনভেষ্টমেন্ট কিম্বা ঝুঁকি নেবার মত সাহসটুকু আর অবশিষ্ট থাকে না। তাই আবার হয়ত কেউ কিছু ব্যাংক লোন নিয়ে, ডেভোলপারের পিছে পিছে ঘুরতে থাকে যদি মাসিক কিস্তিতে একটা ফ্ল্যাট কেনা যায়।
 
এদিকে তার চাকুরী চলছে, সকাল থেকে রাত, কাজের কোন ফুসরত নেই। বউ বাচ্চা নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাবার সময় দিকে। ওদিকে ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে যায়। তারাও বাবার মত একই জীবন চক্রে চলতে থাকে। বাবাটা যদি হজ্জ করতে পারে কিম্বা গয়া-কাশ্মী তে একবার ঘুরে আসতে পারে, তাহলে পুণ্য কর্মও হলো, বিদেশ ভ্রমণ। হয়ত এটাই জীবনের শুরু কিম্বা শেষবারের মত ভ্রমণ। আর শেষ-জীবনে পেনশনের টাকা কিম্বা কিস্তিতে কেনা ফ্ল্যাটে যদি শেষ নিঃশ্বাসটুকু কেউ ফেলতে পারে, তাহলে ধন্য ধন্য বলে রব উঠে যায় চারিদিকে
 
তাহলে পুরো লাইফ সাইকেলটা যদি খুব ভাল করে পর্যালোচনা করি, দেখা যাবে এটাই বেশিরভাগ সফল মানুষ মানুষের Life Cycle। এভাবেই আমার বাবা, তোমার বাবা কিম্বা আপনার বাবা জিবনটা পাড় করে দিয়েছে, দিচ্ছে এবং আমরাও দিবো হয়তো । কিন্তু এই পুরো জীবনে কেউ যদি পা পিছলে পরে যায়, তাহলে হয়ত বাড়ি,গাড়ি কিম্বা ছেলে-মেয়ের ভাল পড়াশুনার ট্রেইনটা মিস করে ফেলে।
 
অথচ চাইলেই জীবনটাকে ভিন্নভাবেই শুরু করা যেত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে থাকতে যদি একটা বিজনেস আইডিয়া নিয়ে কাজ করা যেত এবং পাশ করার পর, প্রথম ৫ বছর অনেকবার ব্যর্থ হতে হতে একসময় হয়তো একটা বিজনেস দাঁড়িয়ে যেত। আর সফল একবার হতে পারলে, জীবনের শুরু থেকেই ভাল চাকুরী, প্রথম থেকেই সিইও, সুন্দরী বউ, গাড়ি কিম্বা বাড়ি সবই হয়তো ৩৫ বছর বইয়সেই হয়ে যেত।
 
আমাদের বেশিরভাগ ছেলে-মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রথম বর্ষ থেকে শুনতে থাকে, “তুমি কি কিছু পারো না, তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না”। বার বার এই কথা শুনতে শুনতে তার মনে, মগজে এটা গেথে যায়। আমার পরাশুনার সময় আমি হয়ত খারাপ করেছি, কিন্তু কোন সহপাঠী কিম্বা স্যার বলে নাই, “এটা পারোস নাই তো কি হয়েছে? সবাই পারে, তুইও পারবি। এবার হয় নাই তো কি হয়েছে, আগামীতে হবে!”
 
যাই হোক, লেখার শেষে এসে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাশ করার প্রথম ৫ বছর আপনি আসলে কি করতে চান, Life Cycle টা কিভাবে গড়তে চান সেটা নিয়ে চিন্তা করা খুব প্রয়োজন। কারন, ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ বছর, আপনি লাইফ নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন। যেটি আপনি ৩৫ বছরে এসে সহজে করতে পারবেন না। কাজেই আপনি কি শেষ জীবনে একটা বাড়ি করতে চান, নাকি ২৫ বছরে একটা ছোট্ট কোম্পানীর মালিক হতে চান, সেটা আপনাকে ঠিক করতে হবে। হোক সেটা ১ জনের কোম্পানী কিম্বা ২ জনের।
 
আপনার লাইফের চিন্তাভাবনা এবং কর্ম আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারন করবে।

কেন গ্রাজুয়েশন এর পর বিজনেস শুরু করা উচিত? Read More »

উচ্চ শিক্ষার জন্য (দেশের বাইরে পড়তে যেতে) তথ্য পেতে ফেসবুকের যে সকল গ্রুপগুলোতে যুক্ত হতে পারেনঃ

প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকেই দেশের বাইরে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে যায়। এসব দেশে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলাদেশকে ভালবাসে বলেই অন্যদেরকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করে থেকে। বাইরে পড়তে যেতে ইচ্ছুক মানুষদেরকে স্বেচ্ছায় সাহায্য করার জন্য ফেসবুকে প্রচুর গ্রুপ আছে যেখানে বাইরে পড়তে গেছে এমন মানুষ এবং যারা পদ্ধতি জানেন তারা স্বেচ্ছায় অন্যদের কে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন। সেরকমই কিছু ফেসবুক গ্রুপ এর তালিকা দেওয়া হলোঃ

(For All Country-1)
HigherStudyAbroad™ – Global Hub of Bangladeshis: ফেসবুকের এ গ্রুপে প্রায় ২,০৬,০০০ সদস্য রয়েছে। এই গ্রুপে রয়েছে এমন বাংলাদেশী যারা বাইরে পড়তে গিয়েছেন কিংবা চাকরি করছেন। বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী বাংলাদেশী ছাত্রদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল এই ফেসবুক গ্রুপ। এগ্রুপে মূলত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুর সহ বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের জন্য তথ্য পাওয়া যায়।

(For All Country-2: Especially for undergraduates)
Bangladeshis Beyond Border: Undergrad Admission Info Portal: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুর সহ বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বেশ সাহায্যকারী এক ‘টুল’ হল এই গ্রুপ। বর্তমানে ৫০,০০০ এরও বেশি সদস্য রয়েছে এই গ্রুপে।

(For Japan)
Bangladeshi Students and Alumni Association in Japan (BSAAJ) জাপানে পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রায় ৪,৭০০ এরও মত সদস্য সম্বলিত এই গ্রুপ।

(For Canada)
Prospective Bangladeshi Students in Canadian Universities: কানাডায় পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১,৭৬,০০০ এরও বেশি সদস্য সম্বলিত এই গ্রুপ।

(For Australia)
HigherStudyAbroad™ Australia Chapter: অস্ট্রেলিয়া পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ৩০,০০০ এরও বেশি সদস্য সম্বলিত এই গ্রুপ।

(For Germany)
Bangladeshi Student and Alumni Association in Germany: জার্মানিতে পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রায় ১,১০,০০০ সদস্য সম্বলিত এই ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ।

(For China)
Study In China for Bangladeshi Students: চীনে পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রায় ৪২,০০০ এরও বেশি সদস্য সম্বলিত এই গ্রুপ।

(For South Korea)

HigherStudyAbroad™ South Korea Chapter: দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রায় ২২,০০০ এরও বেশি সদস্য সম্বলিত এই গ্রুপ।

(For Malaysia)
HigherStudyAbroad™ Malaysia Chapter: মালয়েশিয়ায় পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১৭ হাজারের বেশি সদস্য সম্বলিত এই গ্রুপ।

(For Belgium)
Higher Study in Belgium (Sib): বেলজিয়ামে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রায় ৩,৫০০ এর মত সদস্য সম্বলিত এই গ্রুপ।

(For The Netherlands)

Bangladeshi Students Association in The Netherlandঃ নেদারল্যান্ডেসে পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ৫০,০০০ এরও বেশি সদস্য সম্বলিত এই গ্রুপ।

(For Latvia & Estonia)
Study In Latvia & Estonia From Bangladesh: লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়া তে পড়তে চাইলে ঘেঁটে দেখতে পারেন এই গ্রুপ। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রায় ২,৩০০ এরও মত সদস্য সম্বলিত এই গ্রুপ।

(For India)
BANGLADESHI STUDENT ASSOCIATION IN INDIA: ভারতে পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রায় ৪০,০০০ এর মত সদস্য সম্বলিত এই গ্রুপ।

এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গ্রুপ। যেমন এর KUET এর নিজস্ব গ্রুপঃ
KUET Higher Study & Beyond: ৬,৬০০ এর অধিক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গড়া ফেসবুক গ্রুপ।

তথ্যগুলো সরাসরি শেয়ার করতে পারেন অথবা কপি করে শেয়ার করলে, অন্তত ক্রেডিট হিসাবে আমার নাম ব্যবহার করুন।

উচ্চ শিক্ষার জন্য (দেশের বাইরে পড়তে যেতে) তথ্য পেতে ফেসবুকের যে সকল গ্রুপগুলোতে যুক্ত হতে পারেনঃ Read More »